দুর্গোৎসবের সেকাল ও একাল

দুর্গাপূজা হল দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে ভারত উপমহাদেশে প্রচলিত একটি হিন্দু উৎসব

শোভাবাজার রাজবাড়ি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত একটি রাজবাড়ি। রাজা নবকৃষ্ণ দেব রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন। এই বাড়িতে কলকাতা শহরের সবথেকে পুরোনো দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পরে রাজা নবকৃষ্ণ দেব শোভাবাজার রাজবাড়িতে এই দুর্গাপুজো শুরু করেন

বর্ধমান রাজবাড়ির শিব ও মা চণ্ডিকার নিত্যপুজোর সঙ্গে এখানেই পূজিত হন পটেশ্বরী মা দুর্গা। এখানে দেবী মূর্তিতে নয়, পটে পূজিত হন। সঙ্গে থাকেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশও। বর্ধমানের মহারাজ তখন মহাতাব চাঁদ। ৩৫০ বছর আগে এই পুজো শুরু করেন

কৃষ্ণনগর রাজ বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, দেবী রাজরাজেশ্বরী সিংহের বদলে ঘোড়ার ওপরে বিরাজ করেন। অন্যান্য দেবী দুর্গা মূর্তির তুলনায় কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজ রাজেশ্বরীর মূর্তি একেবারেই ভিন্ন। প্রাচীন রীতি অনুসারে আজও রাজরাজেশ্বরীর পেছনের চালিতে চালচিত্র দেখা যায়

রামগোবিন্দ গোস্বামী শ্রীরামপুরে বসতবাড়ি স্থাপনের পর এই বাড়ি সংলগ্ন ঠাকুরদালানে দুর্গাপূজা শুরু করেন। সময়টা আনুমানিক অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি। এই ঠাকুরদালানেই প্রতিবছর ষোড়শোপচারে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। প্রাচীন ঘরানার একচালার মধ্যে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে মা দূর্গার সঙ্গে থাকেন কার্ত্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী

বিগত বছরগুলির মতো এবারেও গোটা শহরের ভিড় টানতে শ্রীভূমি নিয়ে আসছে নতুন এক থিম। এবছর ক্লাবের পরিকল্পনা ডিজনিল্যান্ড। প্যান্ডেল বানাতে ব্যবহৃত হবে প্লাই, প্লাস্টার অব প্যারিস, ফাইবার গ্লাসের মতো উপকরণ প্রসঙ্গত, গত বিগত কয়েক বছরে একের পর এক অভিনব থিম এনে পুজোপ্রেমী মানুষের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। কখনও বুর্জ খলিফা, কখনও ভ্যাটিকান সিটি, আবার বাহুবলী থিম দর্শনার্থীদের স্রোতকে করেছে শ্রীভূমিমুখী

কল্যাণীর ITI More এই বছরও তাঁদের মণ্ডপে থাকছে বিদেশের ছোঁয়া। চিনের বিলাসবহুল হোটেল Grand Lisboa Macau-এর আদলে তৈরি হচ্ছে তাঁদের মণ্ডপ। গোটা মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে কাচ গিয়ে। একদম আসল হোটেলের মতো থাকবে আলোকসজ্জাও। এখানেই শেষ নয়। এই বছর প্রতিমাতেও থাকছে অভিনবত্ব